শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সরকার দলের ১২ এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব রকিবদ্দীন মন্ডল এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ১২ এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এ প্রতিবেদনগুলোকে আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের এ নির্দেশ দেয় ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী বলেন, বর্তমানে যে আইন রয়েছে এতে বিচারিক ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেয়া আছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা নির্বাহী এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ‘অন দ্যা স্পট’ ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিতে আমরা সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
ইসি সূত্রে জানা যায়, যেসব এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে তারা হলেন, হবিগঞ্জের এডভোকেট আবু জাহির, শরীয়তপুরের নাহিম রাজ্জাক, নাটোরের অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, জয়পুর হাটের আল মাহমুদ স্বপন, কিশোরগঞ্জের এডভোকেট সোহরাবউদ্দিন আহমেদ ও আফজাল হোসেন, ফরিদপুরের মো. আবদুর রহমান, রাজশাহীর আব্বাস আলী এবং সিরাজগঞ্জের হাসিবুর রহমান স্বপন।
পৌর নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রগণ নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
এ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদ- বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান আছে। সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও আছে ইসির। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর তিন এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছিল ইসি। পরবর্তীতে আরোও দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে।